ভারত সরকারের কোম্পানী ভিত্তিক ইটিএফ : CPSE

CPSE ETF
 সিপিএসই ইটিএফ (CPSE ETF) :  

ইটিএফ এর জগতে সিপিএসই ইটিএফ একটি অন্যতম নাম।  সিপিএসই এর ফুল ফর্ম হলো সেন্ট্রাল পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ। নাম থেকেই বোঝা যায় যে এই ইটিএফ কেন্দ্রীয় সরকারি কোম্পানী দ্বারা গঠিত। ভারত সরকারের যে সমস্ত নিজস্ব কোম্পানি রয়েছে তাদের  শেয়ার নিয়ে এই ইটিএফ তৈরি করেছে নিপ্পন ইন্ডিয়া অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী। 

 

সিপিএসই ইটিএফ এর হোল্ডিং :

যে সমস্ত কোম্পানীতে অধিকাংশ শেয়ার হোল্ডার সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট সেই কোম্পানী গুলো এই ইটিএফ এ অন্তর্ভুক্ত। যথা- পাওয়ার গ্রীড, এনটিপিসি, ওএনজিসি, কোল ইন্ডিয়া, ভারত ইলেকট্রনিক, এনএইচপিসি, অয়েল ইন্ডিয়া, এসজেভিএন, এনবিসিসি ইন্ডিয়া। এই নয়টি কোম্পানী নবরত্ন হিসাবে পরিচিত। 


বিনিয়োগের উদ্দেশ্য ও বেঞ্চ মার্ক :

সিপিএসই ইন্ডেক্সে কোম্পানী গুলোর ওয়েটেজ অনুসারে বিনিয়োগ করা হয়, যাতে ইন্ডেক্সের বৃদ্ধির সমানুপাতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়। সিপিএসই ইন্ডেক্স এই ইটিএফ এর বেঞ্চমার্ক।


ভোলাটালিটি :

এই ইটিএফ তথা ইন্ডেক্স হাই ভোলাটাইল। তাই সুইং ট্রেডিং এর জন্য উপযোগী। 3% থেকে 6% টার্গেট সহজেই উপভোগ করা যায়। এছাড়াও আরএসআই এবং মুভিং এভারেজ ইন্ডিক্টের এর মাধ্যমে তৈরী স্ট্রাটেজি কাজে লাগিয়ে লং টার্মেও বিনিয়োগ করা যায়।


নতুনদের জন্য স্ট্রাটেজি :

সিপিএসই ইটিএফ এ  সাপ্তাহিক অল্প অল্প করে ইনভেস্টমেন্ট করা যেতে পারে। যখন কমপক্ষে 6% লাভ হবে, তখন প্রফিট বুক করা যাবে। প্রফিট বুকিং এর সময় যেন মিনিমাম 3000 টাকা ইনভেস্ট থাকে। তাহলে ব্রোকারেজ বাদ দিয়েও ৫% প্রফিট থাকবে।


থোক টাকার স্ট্রাটেজি :

ধরি এই ইটিএফ এর জন্য 1 লক্ষ্য টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট টাকা 10 ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। কারেন্ট মার্কেট প্রাইসে 10 হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। এর পর প্রতি 5% আপ এ প্রফিট বুকিং করে পর দিন আবার ইনভেস্ট করা হবে। ইনভেস্ট এর পর যদি ডাউন হয় তাহলে 5% ডাউনে দ্বিতীয় বার 10 হাজার টাকা ইনভেস্ট করা হবে। বাজার যদি আরও ডাউনে যায় গড় দাম থেকে প্রতি 5% ডাউনে 10 হাজার টাকা ইনভেস্ট করা হবে। বাজারে আপ ট্রেন্ড শুরু হলে সবচেয়ে কম দামে কেনা ইউনিট এ 5% লাভ হলে প্রফিট বুক করা হবে। এক্ষেত্রে এক্সেল শীট বা গুগল শীট ব্যবহার করলে ফিফো, অর্থাৎ ফার্স্ট ইন ফার্স্ট আউট নীতি ব্যবহার করতে সুবিধা হবে। 


উপসংহার :

অবশেষে বলা যায় ধৈর্য্য ধরে, মানসিক স্থিরতা বজায় রাখার মাধ্যমে যদি বিনিয়োগ করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন। অল্প দিনে বড়ো লোক হওয়ার আশায় কারও ফাঁদে পা দিয়ে ইন্ট্রাডে, ফিউচার এন্ড অপশন করতে যাবেন না। কারও টিপসের উপর নির্ভর করবেন না। অন্যের থেকে শিখবেন, সেই শিক্ষা পর্যালোচনা করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন। 


 এই লেখা পড়ে যদি কিছু উপকার বুঝতে পারেন, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আর যদি কিছু জানার বা জানানোর থাকে কমেন্ট বক্স আপনার জন্য খোলা আছে। 👇

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইটিএফ বাংলা একটি পার্সোনাল ফাইনান্স এর শিক্ষা মূলক প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url