ইটিএফ এর দোকান

Shop of ETF, etiefer doksn
Shop of ETF


ইটিএফএফ বাংলা ডিজিটাল প্লাটফর্মে আপনাকে স্বাগত জানাই। এই লেখাটিতে আমরা আপনাদেরকে শেয়ার মার্কেটের সব থেকে সবথেকে নিরাপদ মাধ্যম ইটিএফে সুইং ট্রেডিং এর একটি পদ্ধতি জানাবো। পদ্ধতিটি হলো - গ্রামের একজন মুদির দোকানদার যেভাবে ব্যবসা করে ঠিক সেই রকম। তাইতো আজকের এই পোষ্টের শিরোনাম "আসুন শেয়ারের দোকান করি।"

আমরা বাংলা ভাষায় ভারতবর্ষের সমস্ত বাঙালি মানুষের জন্য তৈরি করেছি আমাদের এই প্ল্যাটফর্ম " ইটিএফ বাংলা "। ইটিএফ কি? সেই বিষয়ে আমাদের এই প্লাটফর্মে অনেক পোস্ট আছে তবুও আজ যারা নতুন তাদের জন্য একটু আলোচনা করি, তারপরে আজকের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করব। 

ইটিএফ হলো এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। ইটিএফ কোন না কোন ইনডেক্স এর উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়। এগুলো তৈরি করে বিভিন্ন সরকার অনুমোদিত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। কোন ইটিএফ যেই ইনডেক্স এর উপর নির্ভর করে তৈরি সেই ইন্ডেক্সকে অনুসরণ করে অর্থাৎ ইনডেক্স এর দাম বাড়লে ইটিএফ এর দাম বাড়ে আবার ইনডেক্সের দাম কমলে এটিএফ এর দাম কমে। 

আমাদের আজকের স্ট্রাটেজি ভারতের শেয়ার বাজারের বিভিন্ন ইনডেক্স নির্ভর ইটিএফ এ সুইং ট্রেডিং নিয়ে। 

গ্রামের মাঝারি সাইজের একজন দোকানদারকে তার দোকানের জন্য কাউন্টার এবং গোডাউন মিলে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। তারপর দোকানের আসবাবপত্র বা ইন্টিরিয়ার ডিজাইন করার জন্য ইনভেস্ট করতে হয়। পঞ্চায়েত থেকে লাইসেন্স দিতে হয় এবং সবশেষে দোকানে মাল তুলতে হয়। এত কিছু হ্যাপা সামলে তবে একটি দোকান চালু করা যায়। দোকান চালু করার পর পরই দোকানে আনা সমস্ত দ্রব্যাদি একই দিনে বিক্রি হয়ে যায় না, খরিদ্দারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কখনো কখনো খরিদ্দারকে বাকিতে মাল বিক্রি করতে হয়, সেই টাকা উদ্ধার করা অনেক সময় আর সম্ভব হয় না। তারপরও দোকানদার নিয়মিত কেনাবেচার মাধ্যমে লাভ করতে থাকে । 

 আমরা আজ যে দোকানের কথা বলব সেই দোকানের জন্য আপনার না কোন কাউন্টার বা গোডাউন এর প্রয়োজন, না আসবাবপত্রের প্রয়োজন, না আপনার লাইসেন্সের প্রয়োজন। আপনার প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র ব্যাংক একাউন্ট, আধার, প্যান কার্ড ও মোবাইল। এগুলোর মাধ্যমে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্টটি হবে আমাদের ইটিএফ এর দোকান। আর এই দোকান চালাতে আপনাকে সারাদিন সময় দিতে হবে না,  সপ্তাহে পাঁচ দিন মাত্র আধঘন্টা করে সময় দিলেই আপনার দোকান দিব্যি লাভ দিতে থাকবে। 

একজন ব্যবসায়ী তার দোকানে বিভিন্ন প্রকারের দ্রব্যাদি বিক্রির জন্য কিনে রাখে এবং যখন ওই দ্রব্যগুলোর দাম কম থাকে তখন একটু বেশি পরিমাণে কিনে নেয় এবং  একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ রেখেই বিক্রি করে। যদি কখনও কিনে রাখা কোনো মালের অতিরিক্ত দাম কমে যায়, তখন ঐ মাল পুনরায় কিনে আগের কেনা মালের দাম কমিয়ে নিয়ে আসে। চাহিদা তৈরী হলে নির্দিষ্ট লাভে বিক্রি করে।

আমরা আমাদের ডিম্যাট দোকানে ইটিএফ কিনবো যখন কোনো ইটিএফ কম দামে পাবো, পড়ে দাম বাড়লে তা বিক্রি করবো।

এর জন্য আমাদের কিছু ইটিএফের লিষ্ট তৈরী করতে হবে। লিষ্ট এ থাকা কোনো ইটিএফ যখন ২০ দিনের গড় দামের থেকে কম দামে চলে আসবে তখন সেটি আমাদের কেনার লিষ্টে আসবে। একই দিনে একাধিক ইটিএফ যদি কেনার লিষ্টে আসে তবে সবচেয়ে কম দামের ইটিএফ কিনবো। আগের কেনা কোন ইটিএফ যদি কেনা দাম থেকে আড়াই পার্সেন্ট দাম কমে যায় তবে ওই ইটিএফ আবার কিনব এবং অপেক্ষা করতে থাকবো আমাদের বিক্রয়ের টার্গেট আসা পর্যন্ত যাতে করে আমরা তাড়াতাড়ি লাভ পেতে পারি। 

এবার আসি আমাদের বিক্রি র প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা আমাদেরকে কিনে রাখা ইটিএফ প্রতিটি কমপক্ষে ৬ পার্সেন্ট লাভে বিক্রি করব। একদিনে একটির বেশি ইটিএফ বিক্রি করব না এবং যদি একই ইটিএফ একাধিকবার কেনা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের শেষ কেনা দাম থেকে ৬ পার্সেন্ট বৃদ্ধি পেলে শেষ বারে কেনা সমপরিমাণ ইটিএফ বিক্রি করে দেব। 

আমাদের ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি খাতা ব্যবহার করতে হবে। 

কুড়ি দিনের গড় দামের থেকে কম দামে থাকা ইটিএফ খুঁজে বের করার জন্য আমরা একটি ওয়েবসাইট এর সাহায্য নেবো। ওয়েবসাইটের নাম www.chartink.com । 

এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করা শিখতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও দেওয়া হবে। সেটি দেখে নিলেই বুঝতে পারবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইটিএফ বাংলা একটি পার্সোনাল ফাইনান্স এর শিক্ষা মূলক প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url